৩ মাস বিনামূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেবে সরকার
দেশের ২ হাজার ৭০০টি ইউনিয়নে বিনামূল্যে ৩ মাস উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে চায় সরকার। এ জন্য মূল সংযোগ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একমত হলে ইউনিয়নগুলো থেকে গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া শুরু হবে। তবে ৩ মাস পর ইন্টারনেটের খরচ গ্রামবাসীকে বহন করতে হবে।
সরকারের আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের ইউনিয়নগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এই কাজটি করেছে আইসিটি বিভাগ ও নেশনওয়াইড ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বা এনটিটিএন (মাটির নিচ দিয়ে তৈরি ক্যাবল সংযোগ) প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি এই সেবাদানের বিষয়ে আইসিটি বিভাগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইসিটি বিভাগ, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান এবং আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে ইউনিয়নগুলো থেকে ‘ক্যাপাসিটি’ সরবরাহের কথা বলা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংশ্লিষ্টদের ৩ মাস বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার আহ্বান জানান। এই আহ্বানে আইএসপিগুলো সাড়া দিলেও এনটিটিএনগুলো এখনো ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি। এনটিটিএনগুলো ইতিবাচক সাড়া দিলে বিনা খরচে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএসপিগুলো।
বৈঠক সূত্র আরো জানায়, প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সেবার ক্ষেত্রে ‘লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি’ (ডেলিভারি পয়েন্ট থেকে চূড়ান্ত ব্যবহারকারীদের কাছে) দেবে আইএসপিগুলো। এই ঘোষণার ফলে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর আর এই সেবা দেয়া হবে না, আইএসপিগুলোই দেবে।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কোনো ট্রান্সমিশন খরচ না নেয় তাহলে আমরা ‘টেস্ট রান’ ভিত্তিতে ৩ মাস বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেব। আমরা স্থানীয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি অফিস, পাঠাগার, ইউনিয়ন ডিজটাল সেন্টার (ইউডিসি) ইত্যাদিতে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নগুলোতে ২০ জিবিপিএস (গিগা বিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ এখন প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এখান থেকে ক্যাপাসিটি নিয়ে আইএসপিগুলো সেবা দিতে পারবে। বিনামূল্যে সেবা দেয়ার পরে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষকে কত খরচ করতে হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ করাও জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বরাবরই দাবি রয়েছে, গ্রামেও ঢাকার দামে ইন্টারনেট। এটা বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। ঢাকার দামে গ্রামে ইন্টারনেট দিতে গেলে কী কী বাধা আসতে পারে তা-ও বিবেচনায় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সে ক্ষেত্রে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রান্সমিশন চার্জ কমানোর ইস্যুটি সবার আগে চলে আসবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
বিডিটাইমস
সরকারের আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের ইউনিয়নগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এই কাজটি করেছে আইসিটি বিভাগ ও নেশনওয়াইড ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বা এনটিটিএন (মাটির নিচ দিয়ে তৈরি ক্যাবল সংযোগ) প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি এই সেবাদানের বিষয়ে আইসিটি বিভাগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইসিটি বিভাগ, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান এবং আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে ইউনিয়নগুলো থেকে ‘ক্যাপাসিটি’ সরবরাহের কথা বলা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংশ্লিষ্টদের ৩ মাস বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার আহ্বান জানান। এই আহ্বানে আইএসপিগুলো সাড়া দিলেও এনটিটিএনগুলো এখনো ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি। এনটিটিএনগুলো ইতিবাচক সাড়া দিলে বিনা খরচে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএসপিগুলো।
বৈঠক সূত্র আরো জানায়, প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সেবার ক্ষেত্রে ‘লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি’ (ডেলিভারি পয়েন্ট থেকে চূড়ান্ত ব্যবহারকারীদের কাছে) দেবে আইএসপিগুলো। এই ঘোষণার ফলে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর আর এই সেবা দেয়া হবে না, আইএসপিগুলোই দেবে।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কোনো ট্রান্সমিশন খরচ না নেয় তাহলে আমরা ‘টেস্ট রান’ ভিত্তিতে ৩ মাস বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেব। আমরা স্থানীয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি অফিস, পাঠাগার, ইউনিয়ন ডিজটাল সেন্টার (ইউডিসি) ইত্যাদিতে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নগুলোতে ২০ জিবিপিএস (গিগা বিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ এখন প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এখান থেকে ক্যাপাসিটি নিয়ে আইএসপিগুলো সেবা দিতে পারবে। বিনামূল্যে সেবা দেয়ার পরে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষকে কত খরচ করতে হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ করাও জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বরাবরই দাবি রয়েছে, গ্রামেও ঢাকার দামে ইন্টারনেট। এটা বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। ঢাকার দামে গ্রামে ইন্টারনেট দিতে গেলে কী কী বাধা আসতে পারে তা-ও বিবেচনায় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সে ক্ষেত্রে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রান্সমিশন চার্জ কমানোর ইস্যুটি সবার আগে চলে আসবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
বিডিটাইমস
No comments